ঢাকা ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ইটনায় সরকারি বিদ্যমান সেবা বিষয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত মদনে সংবাদ প্রকাশের পর স্কুল কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙ্গল বিদ্যালয় প্রাঙ্গন দখল করে ঘর নির্মাণ করছেন শিক্ষক রাজধানীতে পার্বত্য জেলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যসমৃদ্ধ বিপনী বিতান উদ্বোধন করেন: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে মদন উপজেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি সায়েম সাধারণ সম্পাদক আরিফ মদনে ফের বয়রাহালা ব্রীজের এপ্রোচ দখল করে ঘর নির্মাণ মদনে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কৃষককে হত্যার চেষ্টা মদনের এ.ইউ.খান উচ্চ বিদ্যালয়কে কারণ দর্শানোর নোটিশ মদনে এক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতি শূন্য

মাঠে মাঠে আদর্শ বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত কৃষক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:১৯:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জানুয়ারী ২০১৯
  • ২৮৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আমন ধান ঘরে তোলার সাথে সাথে শুরু হয়েছে আসন্ন ইরি-বোরো ধান চাষাবাদের জন্য আদর্শ বীজ তলা তৈরির কাজ। শষ্য ভান্ডার খ্যাত নওগাঁর আত্রাই উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে আদর্শ বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কৃষকরা।

স্বল্প খরচে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আদর্শ বীজতলার দিকে ঝুঁকে পড়েছেন এ অঞ্চলের কৃষক। ভালো ফলনের আশায় উপজেলার কৃষকেরা রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে। কৃষকের পাশাপাশি বসে নেই কৃষি কর্মকর্তারাও।

আদর্শ বীজতলা গুণগত ও উৎকৃষ্ট মানের ধানের চারা উৎপাদনের জন্য ১ মিটার প্রস্ত বেড করে এবং দুই বেডের মাঝে নালা রেখে প্রধানত এ বীজতলা করা হয়। সেচ দেয়া ও অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের সুবিধা, আন্ত পরিচর্যার সুবিধা ও সঠিক অনুপাতে বীজ বপনের জন্য এই আদর্শ বীজতলা।

উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের ভবানীপুর, রসুলপুর ও তারাটিয়া এলাকার কৃষক রফিকুল ইসলাম, আবুল কালাম ও রেজাউল করিম জানান, কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী আমরা এখন সবাই আদর্শ বীজতলা তৈরি করছি। এতে আমরা ভালো মানের চারা তৈরি হবে। এ বীজতলায় বীজ কম লাগছে। রোপণের সময় চারা সাশ্রয় হয়। এ চারা দিয়ে লাইন লোগো পদ্ধতিতে ধান রোপণ করে গত কয়েক বছর ধরে ভালো ফলন পেয়েছে বলে জানান তারা।

উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের পাইকড়া ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা হিরু প্রামানিক বলেন, আদর্শ বীজতলার প্রতি বর্গ মিটারে ৩০ গ্রাম বীজ প্রয়োজন হয়। সেই হিসাবে ১ শতক আয়তনের বীজ তলায় মাত্র ১ হাজার ২শ বীজ প্রয়োগ করতে হয়। পক্ষান্তরে সমাতলী বীজতলায় এর থেকে আনেক বেশি বীজ লাগে। আদর্শ বীজতলার ওপরে কোন বাড়তি পানি জমা হতে পারে না। সমান হারে বীজগুলো বীজতলায় দেয়া সম্ভব হয়। ফলে প্রত্যেকটি চারা সমান মানের হয়। আবার কখনো বীজতলায় রোগ ও পোকা- মাকড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেখা গেলে সাথে সাথে প্রয়োজনীয় পরিচর্যা করা যায়।

উপজেলার সাহেবগঞ্জ ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা কেরামত আলী বলেন, আদর্শ বীজতলা করলে অল্প জায়গায় চারা দিয়ে বেশি জমি রোপণ করা যায়। হিসাব মতে ১ শতক বীজতলার চারা দিয়ে প্রায় ২০ শতক ধানের জমি রোপণ করা যায়। আদর্শ বীজতলার চারায় কুশি গজায়। এ কারণে মাত্র একটি বা দুটি চারা দিয়ে একটি গোছা তৈরি করা যায়। অপর পক্ষে সমাতলী বীজতলার চারা লিকলিকে চিকন, দুর্বল এবং কম বাড়তি সম্পন্ন হয়। ফলে ওই চারা দিয়ে ধানের জমি রোপণ করলে ধানের ফলন কমে যায়।

ভবানীপুর ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শফি উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, আশা করছি আগামী বছর শতভাগ আদর্শ বীজতলা করবে কৃষক। এতে বীজ খরচ কম হয়। বীজ তলায় রোগ বালাই হয়না বললেই চলে। জমিতে ধান রোপণে চারা কম লাগে। ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে কৃষক লাভবান হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ কে এম কাউছার হোসেন জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বরাবরের ন্যায় উপজেলায় এবারও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অর্জন বেশি হবে।

তিনি আরো বলেন – বোরো আবাদের উপযোগী সব জমিকে চাষের আওতায় আনতে জমির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করে কৃষি পণ্য উৎপাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও কৃষি প্রণোদনা প্রদান করা হচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ইটনায় সরকারি বিদ্যমান সেবা বিষয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

মাঠে মাঠে আদর্শ বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত কৃষক

আপডেট টাইম : ০১:১৯:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জানুয়ারী ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আমন ধান ঘরে তোলার সাথে সাথে শুরু হয়েছে আসন্ন ইরি-বোরো ধান চাষাবাদের জন্য আদর্শ বীজ তলা তৈরির কাজ। শষ্য ভান্ডার খ্যাত নওগাঁর আত্রাই উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে আদর্শ বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কৃষকরা।

স্বল্প খরচে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আদর্শ বীজতলার দিকে ঝুঁকে পড়েছেন এ অঞ্চলের কৃষক। ভালো ফলনের আশায় উপজেলার কৃষকেরা রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে। কৃষকের পাশাপাশি বসে নেই কৃষি কর্মকর্তারাও।

আদর্শ বীজতলা গুণগত ও উৎকৃষ্ট মানের ধানের চারা উৎপাদনের জন্য ১ মিটার প্রস্ত বেড করে এবং দুই বেডের মাঝে নালা রেখে প্রধানত এ বীজতলা করা হয়। সেচ দেয়া ও অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের সুবিধা, আন্ত পরিচর্যার সুবিধা ও সঠিক অনুপাতে বীজ বপনের জন্য এই আদর্শ বীজতলা।

উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের ভবানীপুর, রসুলপুর ও তারাটিয়া এলাকার কৃষক রফিকুল ইসলাম, আবুল কালাম ও রেজাউল করিম জানান, কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী আমরা এখন সবাই আদর্শ বীজতলা তৈরি করছি। এতে আমরা ভালো মানের চারা তৈরি হবে। এ বীজতলায় বীজ কম লাগছে। রোপণের সময় চারা সাশ্রয় হয়। এ চারা দিয়ে লাইন লোগো পদ্ধতিতে ধান রোপণ করে গত কয়েক বছর ধরে ভালো ফলন পেয়েছে বলে জানান তারা।

উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের পাইকড়া ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা হিরু প্রামানিক বলেন, আদর্শ বীজতলার প্রতি বর্গ মিটারে ৩০ গ্রাম বীজ প্রয়োজন হয়। সেই হিসাবে ১ শতক আয়তনের বীজ তলায় মাত্র ১ হাজার ২শ বীজ প্রয়োগ করতে হয়। পক্ষান্তরে সমাতলী বীজতলায় এর থেকে আনেক বেশি বীজ লাগে। আদর্শ বীজতলার ওপরে কোন বাড়তি পানি জমা হতে পারে না। সমান হারে বীজগুলো বীজতলায় দেয়া সম্ভব হয়। ফলে প্রত্যেকটি চারা সমান মানের হয়। আবার কখনো বীজতলায় রোগ ও পোকা- মাকড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেখা গেলে সাথে সাথে প্রয়োজনীয় পরিচর্যা করা যায়।

উপজেলার সাহেবগঞ্জ ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা কেরামত আলী বলেন, আদর্শ বীজতলা করলে অল্প জায়গায় চারা দিয়ে বেশি জমি রোপণ করা যায়। হিসাব মতে ১ শতক বীজতলার চারা দিয়ে প্রায় ২০ শতক ধানের জমি রোপণ করা যায়। আদর্শ বীজতলার চারায় কুশি গজায়। এ কারণে মাত্র একটি বা দুটি চারা দিয়ে একটি গোছা তৈরি করা যায়। অপর পক্ষে সমাতলী বীজতলার চারা লিকলিকে চিকন, দুর্বল এবং কম বাড়তি সম্পন্ন হয়। ফলে ওই চারা দিয়ে ধানের জমি রোপণ করলে ধানের ফলন কমে যায়।

ভবানীপুর ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শফি উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, আশা করছি আগামী বছর শতভাগ আদর্শ বীজতলা করবে কৃষক। এতে বীজ খরচ কম হয়। বীজ তলায় রোগ বালাই হয়না বললেই চলে। জমিতে ধান রোপণে চারা কম লাগে। ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে কৃষক লাভবান হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ কে এম কাউছার হোসেন জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বরাবরের ন্যায় উপজেলায় এবারও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অর্জন বেশি হবে।

তিনি আরো বলেন – বোরো আবাদের উপযোগী সব জমিকে চাষের আওতায় আনতে জমির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করে কৃষি পণ্য উৎপাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও কৃষি প্রণোদনা প্রদান করা হচ্ছে।